তবে বাজারের পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করতে গিয়েই অনেকটা বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে।

সেক্ষেত্রে “মানুষের অভ্যাস এবং কোনও আইনই প্রয়োগ করা যাবে না এমন সংস্কৃতি” এগুলো চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে বলে উল্লেখ করেন রিজওয়ানা হাসান।

প্রায় ১৮ বছরে নজরদারির ঘাটতিতেই এত সংখ্যক মানুষ এগুলো উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে এবং মানুষও সহজলভ্য হিসেবে ব্যবহার করে অভ্যস্ত হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।

অথচ কিছু ক্ষেত্রে বাজারের ব্যাগ পুনরায় ব্যবহার সম্ভব হলেও এমন অনেক কিছুই আছে যেগুলো একবারের বেশি ব্যবহার সম্ভব না। খাদ্যপণ্য ছাড়াও প্লাস্টিকের মোড়ক এখন প্রায় বেশির ভাগ সামগ্রির সাথে জড়িয়ে থাকে।

চিপস বা মিনিপ্যাক পণ্যের মতো প্লাস্টিকও পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বাজারের দোকানীরাও সেগুলোর উদাহরণ দেন যে সেগুলো বন্ধ করা হয় না কেন।

কিছু কিছু একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিরুৎসাহিত করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মিস হাসান। ধাপে ধাপে বিভিন্ন পরিসরে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিরুৎসাহিত করার কর্মপরিকল্পনা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

যদিও চিপসের প্যাকেট বা মিনিপ্যাক পণ্যের ক্ষেত্রে বিষয়টা “একটু কষ্টের কাজ যেহেতু এখানে কোনও নিষেধাজ্ঞা বা এটা থেকে বের হয়ে আসার কোনও পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকার দেয়নি,” বলছেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশে রিসাইক্লিং বা পুনরায় ব্যবহারের সুবিধা না থাকায় এর বদলে ডিজাইন পরিবর্তন করার মতো উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাথে সমন্বয় করে সামনে আসতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।- বিবিসি বাংলা