মাঠ পর্যায়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে সেনাবহিনীকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিশেষ এ ক্ষমতা দেয়া হয়।
প্রথম দফায় সেসময় এ ক্ষমতা ৬০দিনের জন্য দেয়া হয়েছিল।
এখন নির্ধারিত দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার আগে শনিবার এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিশেষ এ ক্ষমতার আওতায় গ্রেপ্তার ও বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার মত সুযোগ থাকছে সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন থেকে তদুর্ধ্ব কমিশন পাওয়া কর্মকর্তাদের।
পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপর্যায়ের কর্মকর্তারাও এ ক্ষমতা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এসব কর্মকর্তাদের আরও ৬০ দিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নতুন প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে আগের মতই তা সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকে সারাদেশে মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী।
পাঁচই অগাস্ট সরকার পতনের পর কারফিউ তোলা হলেও বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনা সদস্যদের মাঠ পর্যায়ে রেখে দেয়া হয়।
একপর্যায়ে সারাদেশের থানা থেকে লুট হওয়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথবাহিনী অভিযানেও নামে।
তখন দুই মাসের জন্য সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়। -বিবিসি বাংলা
Leave a Reply