রাজাকারের কোনো তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নেই এবং তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “রাজাকারের তালিকার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে আমি কোনো ফাইল পাইনি। এখনো আমার কাছে আসেনি। সচিব মহোদয় বলছেন মন্ত্রণালয়ের কাছে এ রাজাকারের তালিকার কোনো কপি, কোনো নথি নেই।”
“রাজাকারের তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না। যে রকম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করা যাচ্ছে না। বাস্তবকে অস্বীকার করে তো আমরা কিছুই করতে পারবো না। ৫০ বছর পূর্বে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা এখন কোথায় কে আছে না আছে কার কাছ থেকে কী নথি পেয়ে আমরা এগুলো করবো, এটা তো আমার মনে হয় অনেক বেশি দুরূহ কাজ,” বলেন মি. আজম।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও যারা তালিকাভুক্ত হয়ে সুবিধা নিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন মি. আজম।
তিনি বলেন, “বহু অভিযোগ আছে যে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন, গেজেটভুক্ত হয়েছেন এবং সুবিধা গ্রহণ করছেন। আমার দৃষ্টিতে এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা। এটা ছোটখাটো অপরাধ নয়, অনেক বড় অপরাধ। যখন নির্ণিত হবে তাদেরতো বাতিল করবোই, প্রয়োজনীয় সাজার ব্যবস্থা করবো।”
“অমুক্তিযোদ্ধা যারা এখানে তালিকাভুক্ত হয়েছে, আমরা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সুনির্দিষ্ট করলে তাদের ব্যাপারেও একই রকমের ব্যবস্থা হবে,” বলছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “আমরা একটা ইনডেমনিটিও হয়তো দেব যে যারা অমুক্তিযোদ্ধা এভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এসেছেন তারা যেন স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে যান। তাহলে হয়তো সাধারণ ক্ষমাও পেতে পারেন। ” – বিবিসি বাংলা
Leave a Reply